সাগর-রুনি হত্যা মামলার নতুন মোড়
আপলোড সময় :
২৯-০৯-২০২৪ ০৮:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৯-০৯-২০২৪ ০৯:২২:৪৮ অপরাহ্ন
সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ফাইল ফটো
বাংলা স্কুপ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
নতুন মোড় নিয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা। এ মামলায় বাদীপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ পর্যন্ত ১১৪ বার সময় নিয়েছেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার মধ্যে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধান্ত জানানো হল। এদিন সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী শিশির মনির জানান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে এ হত্যা মামলার তদন্ত চাইবেন তিনি।
তিনি বলেন, ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আইনে আছে কোনো ভুক্তভোগী কিংবা অভিযোগকারী চাইলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। এভাবে সাগর-রুনি মামলার যিনি অভিযোগকারী ছিলেন তিনি আমাকে নিযুক্ত করেছেন। আমরা নিম্ন আদালতে দরখাস্ত দায়ের করবো। তদন্ত যারা করছে তাদের সঙ্গে বসবো। যেসব ক্লু আছে সেগুলো ধরে পরবর্তী তদন্ত করতে হবে।
মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলার ধারাবাহিকতায় যে দুজনের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট এসেছে তা তদন্তের ভিত্তিতে শনাক্ত করতে হবে। এছাড়া র্যাবের কাছে থাকা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত বৈঠক করব। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। বিগত সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে আড়াল করতে তদন্তে বাধা ছিল কিনা তাও আমরা দেখব।
রুনির ভাই মামলার বাদী নওশের রোমান জানান, বহুদিন ধরে মামলার অগ্রগতি দেখছি না। আমরা জানিও না কী হচ্ছে। র্যাব কিন্তু নতুন সরকার আসার পরও সময় নিয়ে যাচ্ছে। ১৫ (অক্টোবর) টোটাল ১১৪ বারের মতো সময় চাইবে। এটার আইনি কার্যক্রম দেখার জন্য, এটার ভেতরে কী হচ্ছে, মোহাম্মদ শিশির মনির ভাইকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।
রাজধানীল পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাঁদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র ছেলে ৫ বছর বয়সী মাহির সারোয়ার মেঘ সে সময় বাসায় ছিল।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। শুরুতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় শেরেবাংলা নগর থানা। তিনদিন পর তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল সেটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের রহস্য উন্মোচন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে; কিন্তু এক যুগেও সে রহস্য উন্মোচন আলোর মুখ দেখেনি।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স